লোক ভাড়া করে স্ত্রীকে অ্যাসিড নিক্ষেপ!

prothom alo
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০১:৫৯, এপ্রিল ১৪, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ
লোক ভাড়া করে মাহফুজাকে অ্যাসিড মেরে ঝলসে দেন তাঁর স্বামী। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মাহফুজার স্বামী সুরুজ আলম ও ভাড়াটে শফিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ৭ এপ্রিল রূপনগর ১৩ নম্বর সড়কের টিনশেড কলোনির বাসায় মাহফুজা আক্তার (২৮), তাঁর নয় বছরের মেয়ে সানজিদা সুলতানা, স্বামী সুরুজ আলম খান ও সুরুজের দ্বিতীয় স্ত্রী নিলুফার বেগম (৩৫) অ্যাসিড হামলার শিকার হন। অ্যাসিডে মাহফুজার মুখমণ্ডল ও দুটি চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। সানজিদা ও নিলুফারকে চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মাহফুজার সন্দেহের ভিত্তিতে ওই দিনই হাসপাতাল থেকে পুলিশ সুরুজ আলমকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাতে সুরুজ আলমের বিরুদ্ধে রূপনগর থানায় মামলা করা হয়।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাসুদ আহাম্মদ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, সুরুজ আলমকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তাঁর স্ত্রী মাহফুজার ওপর অ্যাসিড ছুড়ে মারার পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নে দুজন লোক ভাড়া করার কথা বলেন। সুরুজের তথ্যের ভিত্তিতে গত রোববার রাতে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপকারী শফিউল ইসলাম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাসুদ আহাম্মদ বলেন, সুরুজ অ্যাসিড ছোড়ার দায় এড়াতে তার নিজ হাতে অ্যাসিড লাগিয়ে দগ্ধ হওয়ার নাটক সাজান।
সুরুজ আলম জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেন, তাঁর তিন স্ত্রী রয়েছেন। মাহফুজা তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। মাহফুজা পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাঁর অন্য দুই স্ত্রীও চাকরি করেন। একটি ধারণার বশবর্তী হয়ে তিনি মাহফুজাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু মাহফুজা তাঁর কথা শোনেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছুদিন আগে তিনি মাহফুজাকে অ্যাসিড মারার সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুরুজ আলম বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি অ্যাসিড ছোড়ার জন্য শফিউল ও আরেকজনকে ভাড়া করেন। অ্যাসিড ছোড়ার কয়েক দিন আগে শফিউলসহ দুজন একাধিকবার সুরুজের বাসা পর্যন্ত যান। তখন সুরুজ শফিউলসহ দুজনকে তাঁর বন্ধু হিসেবে মাহফুজার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শফিউল জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকার একটি দোকান থেকে তিনি অ্যাসিড কেনেন। অ্যাসিড ছোড়ার সময় তিনি মুখে কাপড় বেঁধে নেন।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, ১৪ এপ্রিল ২০১৬

Leave a comment