নোয়াখালীতে ডেকে নিয়ে দুই বোনকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

prothom alo
নোয়াখালী অফিস ও লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | আপডেট: ০২:২৪, জানুয়ারি ০২, ২০১৬ | প্রিন্ট সংস্করণ
নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই বোন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশ জানায়, নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই বোন তাদের পূর্বপরিচিত মো. সুমনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। জরুরি কাজের কথা বলে মুঠোফোনে সুমন তাদের একজনকে (ছোট বোন) দেখা করার অনুরোধ করেন। সন্ধ্যা হওয়ায় ছোট বোন সেখানে যাওয়ার সময় তার বড় বোনকেও (১৯) সঙ্গে নিয়ে যায়। ইউপি কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার পর সুমন ও তাঁর সহযোগী রিয়াজ কৌশলে দুই বোনকে পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সুমন ও রিয়াজসহ ১১ জন যু্বক দুই বোনকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে যুবকেরা পালিয়ে যান। পরে গ্রামের লোকজন দুই বোনকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রাতেই সুধারাম থানা-পুলিশ সুমনকে গ্রেপ্তার করে।
গতকাল শুক্রবার সকালে ধর্ষণের শিকার বড় বোন বাদী হয়ে সুমন ও রিয়াজসহ ১১ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার দুই বোনের ডাক্তারি পরীক্ষা গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগতে পারে।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মির্জা মো. হাসান গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
লক্ষ্মীপুর: সদর উপজেলার ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার পর গতকাল কুশাখালী ইউনিয়নের কালিবিত্তি গ্রাম থেকে রাশেদ হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চন্দ্রগঞ্জ থানা-পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে কৌশলে রাশেদ তাঁর কালিবিত্তি নতুন বাজারের দোকানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় দোকান থেকে পালিয়ে যান রাশেদ।
ধর্ষণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারকে থানায় মামলা না করে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার আশ্বাস দেয় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিচার না পেয়ে ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করা হয়। নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। গতকাল শুক্রবার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করার পর পুলিশ রাশেদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
দাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গণেশ চন্দ্র দাস বলেন, ছাত্রীর ভাই চন্দ্রগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর আসামি রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: প্রথমআলো, ০২ জানুয়ারি ২০১৬

Leave a comment